আমতলী প্রতিনিধি, বরগুনা: কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। একই এলাকার ৪ সন্তানের বাবা নিজাম উদ্দিন প্যাদার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বরগুনার তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের নলবুনিয়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সিরাজ হাওলাদার জানান, কড়াইবাড়িয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থী দক্ষিণ নলবুনিয়া গ্রামের মৃত শামসু তালুকদারের মেয়ে মাকসুদা। শুক্রবার তাকে একই এলকার মৃত মকবুল হোসেন প্যাদার ছেলে নিজাম উদ্দিন প্যাদা পথরোধ করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নিজাম প্যাদা লাঠি দিয়ে মাকসুদাকে এলোপাতাড়ি পেটায়। কী নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে দূর থেকে শোনা যায়নি। দ্রুত মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেই। রাতেই তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আহত মাকসুদার অভিযোগ, স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় প্রায়ই আমার পথ রোধ করে আজে বাজে কথা বলে নিজাম প্যাদা। শুক্রবার আমি স্কুল থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি যাওয়ার পথে শারিকখালী ইউপি অফিসের সামনে নলবুনিয়া আসলে একা পেয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। প্রতিবাদ করলে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি।
আহত মাকসুদার বোন খাদিজা বেগম বলেন, নিজাম উদ্দিন প্যাদা এলাকার একজন চিহ্নিত চরিত্রহীন লোক। কয়েক বছর আগে সে আরও একটি মেয়ের সাথে একই আচরণ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলায় সে ৬/৭ মাস জেল খেটেছে।
এ বিষয়ে নিজাম উদ্দিন প্যাদার সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার চেষ্টা করেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিখিল চন্দ্র বলেন, আহত মাকসুদার শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে নীল হয়ে আছে।
কড়াইবাড়িয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. খবির উদ্দিন (পনু) বলেন, ঘটনা শুনে আহত পরীক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করি। বিষয়টি তাৎক্ষণিক তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সেলিম মিঞা বলেন, ঘটনাটি শুনে তালতলী থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
তালতলী থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।